এক নয়, দুই নয়—দীর্ঘ ৮৩ ইনিংস। অবশেষে সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো বাবর আজমের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে প্রায় আড়াই বছরের সেঞ্চুরি-খরা ভেঙে আজ আবার তিন অঙ্কে পৌঁছালেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ঠিক যেমন বিরাট কোহলি করেছিলেন—টানা ৮৩ ইনিংস সেঞ্চুরি ছাড়া কাটিয়ে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে খরা ভেঙেছিলেন তিনিও।
বাবরের খরার শুরু ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট। তার আগের দিন নেপালের বিপক্ষে এশিয়া কাপে করেছিলেন ১৫১ রানের সেঞ্চুরি। এরপর দীর্ঘদিন রান পেলেও সেঞ্চুরি পাচ্ছিলেন না তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ এল সেই বহুল প্রত্যাশিত মুহূর্ত। ইনিংসের ৪৮তম ওভারের প্রথম বলটি মিডউইকেট দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতেই মাঠজুড়ে তৈরি হয় উচ্ছ্বাস। মোহাম্মদ রিজওয়ান এগিয়ে এসে আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরেন তাঁকে, গ্যালারিতেও ছড়িয়ে পড়ে উদ্যাপন।
ইসলামাবাদের আত্মঘাতী হামলার পর সিরিজ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিলেও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের আলোচনার পর সফর চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। একদিন পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান তোলে। জানিত লিয়ানাগে ৫৪ আর কামিন্দু মেন্ডিস ৪৪ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ তিনটি করে উইকেট নেন।
জবাবে পাকিস্তানকে স্বচ্ছন্দ শুরু এনে দেন ফখর জামান ও সাইম আইয়ুব। ৯.৪ ওভারে ৭৭ রান তোলার পর আইয়ুব ৩৩ রানে আউট হন। ফখরও থেমেছেন ৭৮ রানে। এরপর বাবর ও রিজওয়ান কোনো বিপদ ছাড়াই দলের জয় নিশ্চিত করেন। বাবর অপরাজিত ১০২ এবং রিজওয়ান ৫১ রানে মাঠ ছাড়েন।
আজকের সেঞ্চুরিতে বাবরের আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির সংখ্যা দাঁড়াল ৩১—সাঈদ আনোয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে পাকিস্তানের চতুর্থ সর্বোচ্চ। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি ইউনিস খানের (৪১), এরপর মোহাম্মদ ইউসুফ (৩৯) ও ইনজামাম-উল-হক (৩৫)। বাবরের এই সেঞ্চুরি তাই শুধু খরা ভাঙাই নয়, নতুন এক রেকর্ড ছোঁয়ার মুহূর্তও।